ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না জেনে নিন!!

  • Home
  • Diabetes
  • ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না জেনে নিন!!
ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না জেনে নিন!!

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না। এই প্রশ্নটি ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে খুবই সাধারণ। ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খাবারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের শরীরে শক্তি পাই এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রোগে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, আর এজন্য সঠিক সবজির নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও বেশিরভাগ সবজি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী, কিছু সবজি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই এই রোগীদের জন্য কোন সবজি বেছে নেওয়া উচিত এবং কোনটি এড়িয়ে চলা উচিত, সে সম্পর্কে সচেতনতা থাকা দরকার।

উচ্চ শর্করা ও কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি

ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা গ্রহণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন, কারণ এগুলো শরীরে দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। উচ্চ শর্করাযুক্ত সবজি, যেমন মিষ্টি কুমড়ো, গাজর, বিটরুট, এবং মিষ্টি আলু, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। এই সবজিগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় এগুলো খাওয়ার আগে ভেবে নেওয়া দরকার। বিশেষ করে কাঁচা বা রস করা অবস্থায় এগুলো না খাওয়াই ভালো, কারণ এই অবস্থায় এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়।

স্টার্চযুক্ত সবজি

আলু, কুমড়ো, শালগম, এবং মিষ্টি কুমড়োর মতো স্টার্চযুক্ত সবজিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি করতে সক্ষম। বিশেষত আলুতে স্টার্চের পরিমাণ খুবই বেশি এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। যদিও সবজিগুলো প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এগুলো পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

কর্ন ও পাসুল

কর্ন ও পাসুল

কর্ন (ভুট্টা) এবং বিভিন্ন প্রকার শিম জাতীয় সবজি যেমন বিনস, ব্ল্যাক আইড বিনস, চীনা মটরশুটি ইত্যাদিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এগুলো শরীরে ধীরে ধীরে গ্লুকোজে পরিণত হয়। তবে নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কর্ন, শিম, মটরশুঁটির মতো সবজি সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। তবে যদি এগুলো খাবার তালিকায় রাখা হয়, তবে পরিমিত পরিমাণে এবং অন্যান্য সবজির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

চিনি বা প্রাকৃতিক মিষ্টি সমৃদ্ধ সবজি

অনেক সবজিতেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। গাজর, টমেটো, এবং বিটরুটের মতো সবজিতে প্রাকৃতিক শর্করা তুলনামূলক বেশি। এগুলো ছোট পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তবে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত বিটরুটে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যার ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।

প্রক্রিয়াজাত সবজি

প্রক্রিয়াজাত এবং ক্যান করা সবজির মধ্যে অতিরিক্ত লবণ, প্রিজারভেটিভ এবং কখনও কখনও চিনি মেশানো থাকে। এসব উপাদান ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন ক্যান করা টমেটো, ক্যান করা বীটস বা মিষ্টি জলীয় পরিবেশে সংরক্ষিত সবজি এড়িয়ে চলা উচিত।

রুট সবজি

মাটি থেকে সংগ্রহ করা কিছু রুট সবজি, যেমন কাসাভা, যাম, আলু এবং আররুটে উচ্চমাত্রার শর্করা থাকে। এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তাই, এগুলো সীমিত পরিমাণে খাওয়া বা এড়িয়ে চলা ভালো।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে

সব ধরনের সবজি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন নয় বরং কিছু সবজি আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। যেমন, শাকসবজি (পালং শাক, মুলা শাক, কচু শাক), বাঁধাকপি, ব্রকলি, করলা, ঢেঁড়স, লাউ, শসা, ক্যাপসিকাম, এবং কাঁচা কলা। এসব সবজিতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। বিশেষ করে করলায় প্রাকৃতিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের উপাদান থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।

পরামর্শ: ডায়াবেটিস রোগীদের সবজি নির্বাচন করার সময় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) এবং গ্লাইসেমিক লোড (GL) এর দিকে নজর দিতে হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫ এর নিচে থাকলে তা কম GI হিসাবে বিবেচিত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়, বিশেষ করে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে। ফল সাধারণত ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবারের একটি অন্যতম উৎস হলেও কিছু ফলের প্রাকৃতিক শর্করা বা ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই কোন কোন ফল ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত এবং কোন কোন ফল নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এমন কিছু ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ:

১. আম

আম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ফল, কিন্তু এতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম শর্করা থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকালে আম সবার কাছে প্রিয় হলেও, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যারা ডায়াবেটিস রোগী, তাদের জন্য নিয়মিতভাবে আম খাওয়া উচিত নয়। যদিও মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং পরিমাণে সংযত হয়ে খেতে হবে।

২. তরমুজ

তরমুজ শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক, কারণ এতে প্রায় ৯২% পানি থাকে। তবে তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) বেশ উচ্চ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণত, উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যদিও তরমুজ কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে, তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়া উচিত।

৩. আনারস

আনারস ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল, তবে এতে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে আনারস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আনারস খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এটি খাওয়ার সময় অবশ্যই পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে এবং নিয়মিতভাবে না খাওয়া উচিত।

পাকা কলা

৪. পাকা কলা

কলা সহজেই পাওয়া যায় এবং পুষ্টিকর, কিন্তু বিশেষ করে পাকা কলায় শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। পাকা কলার কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে সবুজ বা আধা-পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে, কারণ এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে এবং রক্তে শর্করার প্রভাব কমিয়ে রাখে।

৫. আঙুর

আঙুর একটি স্বাদযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর ফল, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া উচিত। আঙুরে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে সহায়ক। প্রতি ৮৫ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।

৬. লিচু

লিচু একটি সুস্বাদু ফল, তবে এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশ বেশি। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ লিচু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের লিচু এড়িয়ে চলা উচিত বা খুব অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

৭. সবেদা

সবেদা বা চিকু মিষ্টি স্বাদযুক্ত এবং প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় প্রায় ৭ গ্রাম শর্করা থাকে। এর ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

সব ধরনের ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিছু ফল আছে যেগুলো কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত এবং এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। এসব ফল সংযমের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। নিচে কিছু নিরাপদ ফলের তালিকা দেওয়া হলো:

১. আপেল

আপেলে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক এবং এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পরিমাণে আপেল খেতে পারেন।

২. নাশপাতি

নাশপাতিতে কম শর্করা এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।

৩. পেয়ারা

পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক এবং এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ।

৪. কমলা

কমলা ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক। এটি নিয়মিতভাবে খাওয়া যেতে পারে, তবে পরিমাণে সংযম রাখা প্রয়োজন।

৫. স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি

স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ডায়াবেটিস রোগীরা এ ধরনের বেরি নিয়মিত খাবারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন।

ফল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি ও সময়

ফল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি ও সময়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল খাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতি ও সময় মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। ফলের প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই খাবার সময় ও পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।

১. পরিমিত পরিমাণে খাওয়া

ফল খাওয়ার সময় সর্বদা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি ফল খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই সংযম মেনে চলা জরুরি।

২. সময়মতো ফল খাওয়া

সাধারণত সকালের দিকে বা দিনের শুরুতে ফল খাওয়া ভালো, কারণ এই সময়ে শরীরের মেটাবলিজম দ্রুত কাজ করে এবং অতিরিক্ত শর্করা সহজেই পোড়ানো সম্ভব হয়। বিকেলে বা রাতে ফল খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই এ সময় কম ফল খাওয়া ভালো।

৩. সম্পূর্ণ ফল খাওয়া

ফলের রস খাওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। কারণ, ফলের রসে ফাইবার থাকে না এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। সম্পূর্ণ ফল খেলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা

ডায়াবেটিস থাকা মানেই স্বাস্থ্যকর সবজি এবং ফলগুলো একেবারে এড়িয়ে চলা নয়। তবে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক সবজি ও ফল এবং সঠিক সময়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে পারেন এবং জীবনধারা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারেন।

 

বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও খাবার চার্ট কেমন হয়? 

বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় কি কি রাখা যায়?

বিস্তারিত জানুন: ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুণ

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। চিনিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি ফল (যেমন পাকা আম, আঙুর, লিচু) এবং সাদা চাল বা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে, যা মা এবং শিশুর উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বিশেষ করে, ওষুধ বন্ধ করার সময় রোগীদের অবশ্যই বাড়িতে নিয়মিত রক্তে শর্করার স্ব-পরীক্ষা করতে হবে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। উপসর্গের উন্নতি হলে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ডায়াবেটিসের ওষুধ বন্ধ করা এড়ানো উচিত, কারণ এই লক্ষণগুলো সবসময় সঠিক অবস্থা প্রকাশ নাও করতে পারে।

img

Dr. Saiful Islam, PT, is a Consultant Physiotherapist with expertise in Orthopedics. He holds a BPT from Dhaka University, an MPT, and a Postgraduate Certification in Acupuncture from India, with specialized training in Ozone Therapy.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *