ডায়াবিটে আমরা সমন্বিত চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন জটিলতা নিরাময়ে কাজ করে থাকি। জটিলতাসমূহের মধ্যে নার্ভের ব্যাথা ও দূর্বল হয়ে যাওয়া, কিডনিজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিক ফুট আলসার বা ঘা জনিত সমস্যা, ব্লাড সারকুলেশন বা রক্ত সঞ্চালন জনিত সমস্যা ও অন্যান্য। সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ওজন থেরাপি যা ওজন গ্যাসের মাধ্যমে দেয়া হয়। আকুপাংচার, ডায়াবেটো ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক এনার্জি, পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি ও থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ প্রোগ্রাম।
০১
প্রথমে আমরা আমাদের রোগীদের স্বাগত জানাই এবং তাদের যেন ভালো অভিজ্ঞতা হয়, তা নিশ্চিত করি।
০২
রোগীকে চেক ইন করার পর, ফিজিওথেরাপিস্টরা ভালোভাবে পরীক্ষা করেন।
০৩
ডায়াবেটিসের লক্ষণের টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার পর, আমরা ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করি। এর মাধ্যমে রোগীর শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, যাতে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা যায়।
০৪
আমাদের রোগীদের প্রতি দায়িত্ব প্রথম দেখাতেই শেষ হয় না। আমরা তাদের পুরো চিকিৎসা সময়জুড়ে পাশে থাকি, নিয়মিত খোঁজখবর নিই, এবং তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সবসময় সাহায্য করি।
আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানার একমাত্র উপায় হল পরীক্ষা করা । সবচেয়ে সাধারণ পরীক্ষা হল A1C পরীক্ষা এবং প্লাজমা গ্লুকোজ পরীক্ষা।
খালি পেটে যদি ব্লাড সুগার ৭ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি হয় এবং গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে ১১.১ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি থাকে, তবে ডায়াবেটিস নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, যেকোনো সময় ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে যদি ১১ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি দেখা যায়, তবে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু পুরোপুরি সেরে যায় না। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এমন কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, যা ডায়াবেটিসকে পুরোপুরি নিরাময় করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের ওষুধ সব সময় খেয়ে যেতে হবে।