ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি কি? (ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ)
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি, বা ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যার মধ্যে কিডনি অন্যতম। টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত তরল ফিল্টার করে শরীরকে সুস্থ রাখে, কিন্তু দীর্ঘ সময় উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনির এই কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে শুরু করে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হলে কিডনির রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রোটিন প্রস্রাবে চলে আসে, যা সাধারণত শরীরে থেকে যাওয়ার কথা। এই অবস্থাকে বলা হয় প্রোটিনুরিয়া, যা কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ার একটি লক্ষণ। যদি এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তবে রোগটি আরও গুরুতর আকার ধারণ করে এবং কিডনি ব্যর্থতায় রূপ নিতে পারে। এমন অবস্থায় ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীর ফুলে যাওয়া, বিশেষ করে পা ও গোঁড়ালিতে পানি জমে। এটি রোগীর জীবনযাত্রার মানের উপরও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির ঝুঁকি কমাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি তিনজন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভোগেন।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হলে কি হয়?
ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির ওপর একটি বড় প্রভাব পড়তে পারে, যা অনেক সময় “ডায়াবেটিক কিডনি রোগ” নামে পরিচিত। এটি টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে হতে পারে এবং মূলত উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘমেয়াদে কিডনির ক্ষতি করে।
কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল বের করে দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিস কিডনির কাজকে দুর্বল করে দেয়, যার ফলে শরীর সঠিকভাবে এই কাজগুলো করতে পারে না। এই অবস্থার শেষ পর্যায়ে কিডনি ব্যর্থতাও দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির লক্ষণ
ডায়াবেটিসের কারণে কিডনিতে সমস্যা শুরু হতে পারে ৫ থেকে ১৫ বছর পর। এটি সময়ের সাথে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেগুলো বুঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির লক্ষণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- জিএফআর কমে যাওয়া: কিডনির পরিস্রাবণ ক্ষমতা কমে যায়।
- অঙ্গ ফুলে যাওয়া: হাত, পা, গোড়ালি, আঙ্গুল এমনকি হাঁটুর নিচে ফুলে ওঠা।
- উচ্চ রক্তচাপ: রক্তচাপ বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া।
- শ্বাসকষ্ট ও ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- মুখে ধাতুর স্বাদ অনুভব করা।
- বমি বা বমি বমি ভাব হওয়া।
- অত্যন্ত দুর্বল অনুভব করা।
- মনোযোগ কমে যাওয়া।
- প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা দেখা (ফোমি ইউরিন)।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির লক্ষণগুলো শুরুতে বোঝা নাও যেতে পারে। তবে সময়ের সাথে এগুলো ধীরে ধীরে প্রকট হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করলে এই রোগের অগ্রগতি কমানো বা বন্ধ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির ঝুঁকির কারণ
ডায়াবেটিস থাকলে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। কিছু কারণ আছে, যা এই ঝুঁকি বাড়ায়। চলুন জেনে নেই, কী কী কারণে ডায়াবেটিসে কিডনি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়তে পারে:
- বেশি দিন ধরে রক্তে শর্করা বেশি থাকা: ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে বর্জ্য পরিস্রাবণ দুর্বল হয়।
- উচ্চ রক্তচাপ: রক্তচাপ বেশি থাকলে কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেমে চাপ পড়ে, যা কিডনির ক্ষতি বাড়ায়।
- পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে যদি কারও ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির সমস্যা থাকে, তাহলে ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে আফ্রিকান আমেরিকান, মেক্সিকান আমেরিকান এবং পিমা ইন্ডিয়ানদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি।
- ধূমপান: ধূমপান কিডনির স্বাস্থ্য আরও খারাপ করে।
- উচ্চ কোলেস্টেরল: রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
- স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন থাকলে কিডনি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি পরীক্ষা
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি (ডায়াবেটিসজনিত কিডনি সমস্যা) নির্ণয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়, যেমন:
- প্রস্রাব পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা দেখা হয়। যদি প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে বুঝতে সুবিধা হয় কিডনির ক্ষতি হয়েছে কিনা।
- রক্ত পরীক্ষা: রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা মেপে কিডনি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বোঝা যায়।
- ইমেজিং পরীক্ষা: আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষাগুলো কিডনির আকার এবং অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়। এটি কিডনির শারীরিক গঠন বা কোনো অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি নির্ণয়ে, সকালের প্রস্রাবের নমুনায় দুই বা তার বেশি সময় অ্যালবুমিনুরিয়া থাকতে হয়। অ্যালবুমিনুরিয়া হলো যখন প্রস্রাবে একটানা অ্যালবুমিন নামক প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যদি ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি বা প্রতি মিনিটে ২০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি অ্যালবুমিন পাওয়া যায়, তাহলে এটি অ্যালবুমিনুরিয়া হিসেবে গণ্য হয়।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির অবস্থা বোঝার জন্য দুটি প্রধান বিষয় পরীক্ষা করা হয়:
- প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ (প্রোটিনুরিয়া): প্রোটিনুরিয়া কিডনির ক্ষতির স্তর বুঝতে সাহায্য করে।
- সিরাম ক্রিয়েটিনিন (রক্ত পরীক্ষা): এটি কিডনির কার্যকারিতা মাপার একটি উপায়।
এই পরীক্ষাগুলো কিডনি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় এবং সময়মতো কিডনির যত্ন নিতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির চিকিৎসা?
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হল কিডনির এক ধরনের সমস্যা, যা সাধারণত ডায়াবেটিসের কারণে হয়। এর চিকিৎসা রোগের অগ্রগতি কমাতে বা থামাতে সাহায্য করে। এই চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ইতিহাস এবং রোগের অবস্থার উপর।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি চিকিৎসার ধাপগুলো
ওষুধ ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন:
- রক্তে শর্করা (সুগার) নিয়ন্ত্রণ রাখা।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা।
ব্যবহৃত ওষুধ:
- ইনসুলিন: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- সালফোনাইলুরিয়াস ও থিয়াজোলিডিনিডিওনেস: এরা রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে।
- ACE ইনহিবিটার: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিডনির জন্য সাহায্য করে।
এই চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করা সম্ভব, যা কিডনিকে আরও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি উচ্চ রক্তচাপের কারণ
কিডনিতে ছোট রক্তনালীর একটি দল আছে, যাকে গ্লোমেরুলাস বলা হয়। এটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। ডায়াবেটিসের কারণে এই গ্লোমেরুলাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও ডায়াবেটিসের জটিলতা হিসেবে কিডনির ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এটি কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেমের উপর চাপ বাড়ায় এবং কিডনি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে রক্তনালীগুলির ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি নামক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
কিভাবে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি প্রতিরোধ করা যায়?
ডায়াবেটিস হলে কিডনি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে সঠিক যত্ন ও নিয়ম মেনে চললে আপনি কিডনি সুস্থ রাখতে পারেন। আসুন জেনে নিই কীভাবে সহজ উপায়ে কিডনির যত্ন নিতে পারবেন —
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে শর্করা বেশি থাকলে তা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিতভাবে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন। রক্তের শর্করা নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকলে কিডনি বেশি ভালো থাকবে। আপনার ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দেয়, সেই অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ওষুধ ও ইনসুলিন নিন। পাশাপাশি খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন এবং যেসব খাবার শর্করার পরিমাণ বাড়ায়, সেগুলো কম খান। নিয়ম মেনে চললে কিডনির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ক্ষতির অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং ডাক্তার যেভাবে বলে, সেইভাবে রক্তচাপের ওষুধ খান। কিডনি ভালো রাখতে আপনার রক্তচাপ ১৩০/৮০ এর নিচে থাকা উচিত।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির ক্ষতির ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীরের ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। সঠিক ওজন বজায় রাখলে শুধু কিডনি নয়, শরীরের সব অঙ্গই ভালো থাকবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
স্বাস্থ্যকর ডায়েট কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। বেশি করে ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খেতে হবে। লবণ, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং লাল মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এতে কিডনির উপর চাপ কম পড়বে এবং আপনার শরীরও ভালো থাকবে।
ধূমপান ছেড়ে দিন
ধূমপান রক্তনালীর ক্ষতি করে এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান করলে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়, যার ফলে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং কিডনি দুর্বল হতে থাকে। তাই সুস্থ কিডনি রাখতে ধূমপান সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন।
নিয়মিত চেকআপ করান
রক্তে শর্করা, রক্তচাপ এবং কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। নিয়মিত চেকআপ করলে শুরুতেই কিডনি সমস্যার লক্ষণ বোঝা যায় এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি প্রতিরোধের জন্য বছরে অন্তত একবার কিডনির পরীক্ষা করানো ভালো। এতে কিডনি সমস্যা আগেভাগে ধরা পড়ে, এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হয়।
বিশেষ কিছু মনে রাখার বিষয়
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি বা ডায়াবেটিসজনিত কিডনি সমস্যা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। কিডনির সমস্যা হলে অনেক সময় ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হতে পারে, যা অনেক কষ্টের এবং জীবনকে কঠিন করে তোলে। সঠিক যত্ন, নিয়মানুবর্তিতা এবং ভালো মানসিকতা ধরে রাখলে আপনি এই চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন।
আপনার প্রিয়জনদের সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন এবং তাদের সাহায্য নিন। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং মনোবল শক্ত রাখুন। সহায়তা আর ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে আমরা এই সমস্যাকে কাটিয়ে উঠতে পারি, সুস্থ জীবনযাপন করতে পারি এবং প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতে পারি।
বিস্তারিত জানুন: ৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও এটি নিয়ন্ত্রণে করণীয় কি?
বিস্তারিত জানুন: কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে? দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়? এটি হলে কি লক্ষণ দেখা যায়?
তথ্য সূত্র
WebMD — Diabetic Nephropathy
Diabetes UK — Diabetic nephropathy (kidney disease)
Mayo Clinic — Diabetic nephropathy (kidney disease)
সাধারণ জিজ্ঞাসা
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কি ডায়াবেটিসকে প্রভাবিত করে?
কিডনি রোগ ডায়াবেটিসের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে। কিডনি রক্ত ফিল্টার করে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রয়োজনে গ্লুকোজ পুনরায় শোষণ করে। তবে, ক্রনিক কিডনি রোগ (CKD) এর মতো সমস্যায় কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে, গ্লুকোজ বিপাকে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি ও রেটিনোপ্যাথি প্রথম কোনটি?
ডিআর এবং ডিএন-এর মধ্যে সম্পর্ক পরিসংখ্যানগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এবং এটি একমুখী, যা কালানুক্রমিক ক্রম দ্বারা বোঝানো যায়; অর্থাৎ, ডিএন-এর আগে ডিআর ঘটে। বর্তমান গবেষণা ইঙ্গিত করে যে রেনাল বৈকল্যের মাত্রা চোখের ক্ষতির স্তরের সঙ্গে সমানুপাতিক।