অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ওজন কমানো আরও গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম প্রয়োজন। পেটের ভিতরের মেদ (Intra-abdominal fat) ডায়াবেটিসের মূল কারণ, কারণ এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। ব্যায়ামের মাধ্যমে এই মেদ দ্রুত কমানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম ডায়েট চার্টে নিয়মিত ছোট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়ানো, এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ অত্যন্ত কার্যকর। নিয়মিত ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ডায়াবেটিসের জটিলতা কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ওজন থেরাপি একটি বিশেষ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেটি অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু নিয়ে গঠিত। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক ফুট আলসারের ক্ষেত্রে ওজন থেরাপি একটি অত্যাধুনিক এবং খুবই কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি।
আকুপাংচার হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি রোগে ভুগছেন তাদের নার্ভের কার্যক্ষমতা ফিরে আনতে আকুপাংচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আকুপাংচার সরাসরি আমাদের নার্ভ এবং মাংসপেশিকে স্টিমুলেট করে এদের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং রোগীদের ব্যথা অবস অবস ভাব হওয়া ভারী লাগা এবং দুর্বলতা অনুভব করা এসব দেখে মুক্তি দেয়।
ম্যাগনেটিক থেরাপি একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে চুম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োগ করা হয়। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এই শক্তি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও জটিলতা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ, ইলেক্টোথেরাপি অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস কি?
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস জটিলতা
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস ফুট আলসার
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি