ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা শুনে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন। এই সাধারণ সবজিটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কীভাবে উপকারী হতে পারে, তা জানতে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য।
ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা
ঢেঁড়স, যাকে ইংরেজিতে Okra বলা হয়, সারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। ঢেঁড়সে ক্যালোরি খুব কম, কিন্তু এতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই ঢেঁড়সের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
১. ক্যালোরি কম, পুষ্টি বেশি
১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে মাত্র ৩৩ ক্যালোরি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। ক্যালোরি কম হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিক ডায়েটের একটি চমৎকার উপাদান। ঢেঁড়স ফ্যাটমুক্ত এবং এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। ঢেঁড়সে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঢেঁড়স খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
৩. অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ঢেঁড়সে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন সি, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমলে রক্তে শর্করার ওঠানামা সহজে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়, যা হার্টের জন্য ভালো। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ফাইবারযুক্ত খাবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫. ফাইবারের উৎস
ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সহায়ক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
৬. ঢেঁড়সের পানি
ঢেঁড়স ভেজানো পানিডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও উপকারী হতে পারে। ঢেঁড়স পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে শরীর প্রচুর পুষ্টি উপাদান পায়। এক গ্লাস ঢেঁড়সের জল ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ২ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ
ঢেঁড়সে খুব কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সহায়ক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা। ঢেঁড়স খেলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডায়াবেটিস রোগীদের হজমের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়, আর ঢেঁড়স এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজমও ভালো হয়।
৯. হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়
ঢেঁড়সে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় শ্বাসকষ্টে ভোগেন, তাই ঢেঁড়স তাদের জন্য আরও উপকারী হতে পারে।
১০. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েড চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় চোখের সমস্যায় ভোগেন, ঢেঁড়স সে ক্ষেত্রেও উপকারী হতে পারে।
১১. হাড়ের সুরক্ষা
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন কে হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়ক। এটি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়ের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১২. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
ঢেঁড়সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো এর ক্যানসার প্রতিরোধক গুণাবলি। ঢেঁড়সে থাকা লেকটিন নামক উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দেয় এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লেকটিন কোলন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।
ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা এবং এর গুনাগুন
ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা এবং এর গুনাগুন গুলোর সম্পর্কের কিছু ধারণা নেওয়া যাক
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়সের ভূমিকা
ঢেঁড়সে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেমন পলিফেনল ও ফ্লেভোনয়েড শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। পলিফেনল এবং ফ্লেভোনয়েড শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এগুলো রক্তনালীগুলিকে সুরক্ষা দেয়, রক্তচাপ বাড়তে দেয় না এবং হার্টের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বড় একটি সমস্যা। ঢেঁড়স নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢেঁড়স সেদ্ধ করে খাওয়া বা ঢেঁড়স ভেজানো জল পান করা বেশ কার্যকর হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়সের ভূমিকা
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে ক্ষুধা কম লাগে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের সম্ভাবনা কমে যায়। ঢেঁড়সের ফাইবার পেট ভরা রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়া ঢেঁড়সে ক্যালোরি কম থাকায় এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সম্ভাবনা কম থাকে এবং ওজনও সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ঢেঁড়সের ভূমিকা
কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের বর্জ্য পদার্থকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিডনির কার্যকারিতা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে কিডনিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঢেঁড়সের উপাদানগুলো কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে কিডনির ভেতর জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায় এবং কিডনির সুরক্ষা বজায় থাকে। ঢেঁড়সের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনির কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢেঁড়স কিডনির সংক্রমণ এবং অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।
ফলেটের ঘাটতি পূরণে ঢেঁড়সের কার্যকারিতা
ফলেট, যা ভিটামিন বি৯ নামেও পরিচিত, শরীরের কোষের বৃদ্ধি ও কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এটি রক্তের সঠিক প্রবাহ বজায় রাখে এবং শরীরে নতুন কোষ তৈরি করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য ফলেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে ভূমিকা রাখে। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ফলেট থাকে, যা শরীরের ফলেটের ঘাটতি পূরণ করে এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। গর্ভবতী নারীদের জন্য ঢেঁড়স খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে ঢেঁড়সের ভূমিকা
অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে যাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি থাকে। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যেমন আয়রন, ফলেট, এবং ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। আয়রন রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সহায়ক। ফলেট এবং ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে। ঢেঁড়স নিয়মিত খেলে শরীরে লোহিত রক্তকণিকার অভাব দূর হয় এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
কিভাবে ঢেঁড়স খাবেন?
ঢেঁড়স খাওয়া খুবই সহজ এবং উপকারী। ৪-৫টি তাজা ঢেঁড়স ভালো করে ধুয়ে নিন এবং দুই মাথা কেটে বাদ দিয়ে লম্বা করে চিরে ফেলুন। এরপর ঢেঁড়সের টুকরোগুলো একটি কাচের বয়ামে ভরে পানি দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত এই পানীয় খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। ঢেঁড়স ভাজি, তরকারি, সেদ্ধ করে কিংবা ভেজানো জল হিসেবেও খাওয়া যায়। তবে ঢেঁড়স ভেজানো জল খাওয়ার জন্য ঢেঁড়স টুকরো করে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে সেই জল খেলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকার পাওয়া যায়।
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এর লক্ষণ,ঔষধ এবং চিকিৎসা কি?
বিস্তারিত জানুন: জবা ফুলের উপকারিতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ও রস খেলে কি হয়?
বিস্তারিত জানুন: ডায়াবেটিস মেশিন ব্যবহারের নিয়ম, দাম এবং কোথায় পাওয়া যায়
তথ্যসূত্র
Indian express – How does okra reduce blood sugar and why is it a superfood for controlling diabetes and cholesterol?
WebMD – Is Okra Good for Diabetes?
Healthline – Benefits of Okra for Diabetes
NDTV – Diabetes Diet: Can Okra (Lady Finger) Help You Control Blood Sugar Levels?
সাধারণ জিজ্ঞাসা
ঢেঁড়স এর বৈজ্ঞানিক নাম কি?
ঢেঁড়সের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Abelmoschus esculentus।
ঢেঁড়স দিয়ে চুলের যত্ন
ঢেঁড়স চুলের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এতে থাকা ভিটামিন এ, সি, এবং ক্যালসিয়াম চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। ঢেঁড়স সেদ্ধ করে তার জল চুলে লাগালে চুল মসৃণ ও ঝলমলে হয় এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।
ঢেঁড়স খেলে কি মোটা হয়?
না, ঢেঁড়স খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ঢেঁড়সে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এটি হজমে সহায়ক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তাই ঢেঁড়স খাওয়ার ফলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ঢেঁড়স খাওয়ার অপকারিতা
ঢেঁড়স অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে, কারণ এতে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজমে সমস্যা করতে পারে। এছাড়া ঢেঁড়সে অক্সালেট থাকায় কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জিও হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ঢেঁড়স খাওয়া যাবে কি?
হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় ঢেঁড়স খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ফলেট (ভিটামিন বি৯) থাকে, যা গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সহায়ক। এছাড়া এটি হজমে সাহায্য করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে, যা গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ঢেঁড়স ভাজি রেসিপি
ঢেঁড়স ভাজি তৈরির জন্য প্রথমে ঢেঁড়স কেটে নিতে হবে। তারপর তেলে পেঁয়াজ, রসুন কুচি ভেজে ঢেঁড়স দিয়ে দিতে হবে। সামান্য হলুদ, মরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ঢিমে আঁচে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। শেষে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়?
হ্যাঁ, ঢেঁড়স খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, কারণ এতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমের গতি ধীর করে দিতে পারে। বিশেষত, যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি গ্যাস্ট্রিকের উদ্রেক ঘটাতে পারে।
ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়?
হ্যাঁ, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঢেঁড়স খাওয়ার পর এলার্জি হতে পারে। এর উপসর্গগুলো হতে পারে ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট বা চোখের জ্বালাপোড়া। যাদের ঢেঁড়সে এলার্জি রয়েছে, তাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।