Diabet-full-logo

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি

  • Home
  • ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির লক্ষণ ও ধরণ এবং কীভাবে বুঝবেন?

neuropathy-1

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি একটি মারাত্মক জটিলতা হতে পারে। প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। তবে সুখবর হচ্ছে, ডায়াবেটিস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করলে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে এই জটিলতা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কি?

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হলো ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যা দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তের গ্লুকোজ (চিনি) স্তরের কারণে ঘটে। যখন রক্তে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে, তখন এটি শরীরের স্নায়ুতে ধীরে ধীরে ক্ষতি করতে শুরু করে। স্নায়ু আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ রক্ষা করে, তাই স্নায়ুর ক্ষতি হলে শরীরের বিভিন্ন অংশে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।


ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণত হাত এবং পায়ে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে, পায়ে ঝিনঝিন অনুভূতি, অবশ হওয়া, ব্যথা বা জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র পা বা পায়েই সীমাবদ্ধ থাকে না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন: হৃদয়, হজম প্রক্রিয়া, মূত্রনালি এবং যৌনস্বাস্থ্য।


ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি খুব ধীরে ধীরে শুরু হয়, তাই অনেক সময় মানুষ প্রথম দিকে এটি বুঝতে পারে না। সমস্যা বাড়তে বাড়তে উপসর্গগুলো গুরুতর হতে থাকে। সঠিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া, এই স্নায়ুর ক্ষতি স্থায়ী হতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

কোন কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়?

আমাদের শরীরে অনুভূতি আর নড়াচড়ার জন্য স্নায়ু কাজ করে। ডায়াবেটিসের কারণে সব ধরনের স্নায়ুই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে শরীরের কোন অঙ্গ সমস্যায় পড়বে। বেশির ভাগ সময়ে হাত, পা, খাবার হজম করার নালি, প্রস্রাবের নালি, রক্তনালি এবং হৃদয় ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির প্রকারগুলি কী কী?

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কয়েকটি ধরণ আছে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং আলাদা আলাদা লক্ষণ তৈরি করে। এসব ধরণের মধ্যে রয়েছে —

পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি সবচেয়ে সাধারণ। এটি মূলত হাত-পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে পায়ে।

অটোনমিক নিউরোপ্যাথি

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি শরীরের এমন স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা আমাদের হজম, হৃদস্পন্দন, ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি

এটি ডায়াবেটিক অ্যামিওট্রফি নামেও পরিচিত। এটি উরু, নিতম্ব এবং কুঁচকি অঞ্চলে পেশীর দুর্বলতা ও ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি শরীরের নির্দিষ্ট স্নায়ুতে হঠাৎ দুর্বলতা বা ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত শরীরের একদিকে হয় এবং বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে।

neuropathy-2

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি লক্ষণ

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির চিকিৎসা

  • ঔষধ সেবন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ খাওয়া নিউরোপ্যাথির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  • খাবার নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিনি, চর্বি ও বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
  • নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম: প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা এবং হালকা ব্যায়াম স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • ফিজিওথেরাপি: আকুপাংচার, ওজন থেরাপি, এবং বিশেষ ব্যায়ামের মাধ্যমে পায়ের কার্যকারিতা উন্নত করা যায়।

আমাদের শরীরে অনুভূতি আর নড়াচড়ার জন্য স্নায়ু কাজ করে। ডায়াবেটিসের কারণে সব ধরনের স্নায়ুই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে শরীরের কোন অঙ্গ সমস্যায় পড়বে। বেশির ভাগ সময়ে হাত, পা, খাবার হজম করার নালি, প্রস্রাবের নালি, রক্তনালি এবং হৃদয় ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কয়েকটি ধরণ আছে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং আলাদা আলাদা লক্ষণ তৈরি করে। এসব ধরণের মধ্যে রয়েছে —

neuropathy-2

পেরিফেরাল স্নায়ুরোগ

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি সবচেয়ে সাধারণ। এটি মূলত হাত-পায়ের স্নায়ুকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে পায়ে।

অটোনমিক নিউরোপ্যাথি

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি শরীরের এমন স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা আমাদের হজম, হৃদস্পন্দন, ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি

এটি ডায়াবেটিক অ্যামিওট্রফি নামেও পরিচিত। এটি উরু, নিতম্ব এবং কুঁচকি অঞ্চলে পেশীর দুর্বলতা ও ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি

এই ধরনের নিউরোপ্যাথি শরীরের নির্দিষ্ট স্নায়ুতে হঠাৎ দুর্বলতা বা ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত শরীরের একদিকে হয় এবং বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে।

  • যৌনক্ষমতা কমে যাওয়া।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা।
  • পায়ে দীর্ঘ সময়ের ক্ষত তৈরি হওয়া।
  • হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তি।
  • হাত ও পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ অনুভূতি।
  • ক্ষুধামন্দা বা বমি বমি ভাব, যা খাবার হজমের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে হয়।
  • হার্টের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বুকের ব্যথা না বুঝে হঠাৎ ঘাম বা অস্থিরতা।
  • ঔষধ সেবন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ খাওয়া নিউরোপ্যাথির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
  • খাবার নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিনি, চর্বি ও বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
  • নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম: প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা এবং হালকা ব্যায়াম স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • ফিজিওথেরাপি: আকুপাংচার, ওজন থেরাপি, এবং বিশেষ ব্যায়ামের মাধ্যমে পায়ের কার্যকারিতা উন্নত করা যায়।